কোয়েল ছোট আকারের, বাদামী রঙের, দ্রুত বর্ধনশীল পাখি। এরা তিতিরের মতো দেখতে হলেও আকারে অনেক ছোট। কোয়েল পাখি দু’ধরণের হয়: মাংসের জন্য পালিত ব্রয়লার কোয়েল এবং ডিমের জন্য পালিত লেয়ার কোয়েল।
কোয়েল পাখি পালন
সুবিধা:
- অল্প জায়গায় পালন করা যায়।
- খাদ্য খরচ কম।
- দ্রুত বর্ধনশীল এবং ডিম পাড়া শুরু করে।
- রোগ-বালাই কম হয়।
- মাংস ও ডিমে পুষ্টির পরিমাণ বেশি।
- লাভজনক ব্যবসা।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:
খাঁচা, খাদ্য, পানি, আলো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ওষুধ ইত্যাদি।
পদ্ধতি:
- বাচ্চা কেনা বা বাচ্চা ফুটানো।
- খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা।
- রোগ-বালাই প্রতিরোধ বাসস্থান।
- ডিম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ।
- কোয়েলের মাংস ও ডিম বাজারজাতকরণ।
মাংস:
- কোলেস্টেরল কম।
- প্রোটিন বেশি।
- সুস্বাদু।
- বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করা যায়।
ডিম:
- কোলেস্টেরল কম।
- ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ।
- স্বাস্থ্যকর।
- বাজারে চাহিদা বেশি।
কোয়েল পাখি পালনের প্রশিক্ষণ
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোয়েল পাখি পালনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
প্রশিক্ষণে পাখি পালনের নিয়ম-কানুন, খাদ্য ও পরিচর্যা, রোগ-বালাই প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে জানা যায়।
উপসংহার
কোয়েল পাখি পালন লাভজনক ব্যবসা এবং সুস্বাদু খাবারের উৎস। অল্প পুঁজি, জায়গা এবং পরিশ্রমে এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এই ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব।
কোয়েল পাখি কত দিনে ডিম পারে?
কোয়েল পাখি ৪৫-৫০ দিন বয়সে ডিম পাড়া শুরু করে। তবে জাত, পরিবেশ, খাদ্য ও পরিচর্যার উপর নির্ভর করে ডিম পাড়ার সময় কিছুটা এগিয়ে-পিছিয়ে হতে পারে।