বিড়ালের কামড় সামান্য দেখালেও এটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিড়ালের দাঁত তীক্ষ্ণ হওয়ায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়, যা ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া বিড়াল জলাতঙ্ক (Rabies) ভাইরাস বা টেটানাস জীবাণু বহন করতে পারে, যা মানব দেহে প্রবেশ করলে প্রাণঘাতী হতে পারে।
বিড়ালের কামড় ক্ষতিকারক কেন?
জীবাণু সংক্রমণ: বিড়ালের মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া কামড়ের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করে ইনফেকশন ঘটায়।
জলাতঙ্ক ঝুঁকি: যদি বিড়ালটি জলাতঙ্ক আক্রান্ত হয়, তবে এর কামড় থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতের জটিলতা: গভীর ক্ষত দ্রুত ফোলা, লাল হওয়া বা পুঁজ জমার কারণ হতে পারে।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়?
যদি বিড়াল কামড় দেয়, তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক টিকা: প্রথম দিনই জলাতঙ্কের (Rabies) ভ্যাকসিন শুরু করতে হবে।
পরবর্তী ডোজ: ০, ৩, ৭, ১৪ এবং ২৮তম দিনে পাঁচটি ডোজ সম্পন্ন করতে হয়।
টেটানাস টিকা: বিড়ালের কামড়ের পরে, ১০ বছরের মধ্যে টেটানাস টিকা না নিয়ে থাকলে, সঙ্গে সঙ্গেই এটি নেওয়া উচিত।
বিড়ালের কামড়ে তাৎক্ষণিক করণীয়:
ক্ষত ধোয়া: কামড়ের স্থানটি ১০-১৫ মিনিট ধরে পরিষ্কার পানি এবং অ্যান্টিসেপটিক সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
রক্তপাত বন্ধ করা: পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতটি চাপ দিয়ে রক্তপাত থামানোর চেষ্টা করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টিকা নেওয়া: নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জলাতঙ্ক ও টেটানাস টিকা নেওয়া অত্যাবশ্যক।
কেন দ্রুত টিকা নেওয়া জরুরি?
জলাতঙ্ক ভাইরাস একবার শরীরে প্রবেশ করলে এটি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। টিকা সময়মতো না নিলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
উপসংহার
বিড়ালের কামড়কে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণ করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় সচেতন হোন এবং কোনো সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।