দোয়েল পাখি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। এটি তার মিষ্টি কলকাকলি এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis।
দোয়েল পাখির বৈশিষ্ট্য:
- আকার: দোয়েল পাখি ছোট আকারের, 20-23 সেমি লম্বা এবং 28-34 গ্রাম ওজনের।
- বর্ণ: পুরুষ দোয়েলের পিঠ ও লেজ কালচে বাদামী, বুক ও পেট সাদা, চোখের চারপাশে সাদা বলয় এবং মাথায় কালচে টুপি থাকে। স্ত্রী দোয়েলের পুরুষের তুলনায় রঙ ফ্যাকাসে।
- গান: দোয়েল পাখির মিষ্টি কলকাকলি খুবই মনোমুগ্ধকর।
- চঞ্চলতা: দোয়েল পাখি খুবই চঞ্চল এবং দ্রুত উড়তে পারে।
দোয়েল পাখির বাসস্থান:
- বন: দোয়েল পাখি সাধারণত বন-জঙ্গলে বাস করে।
- গ্রাম: গ্রামাঞ্চলেও দোয়েল পাখি দেখা যায়।
- শহর: শহরের বাগান, পার্ক এবং বড় গাছের ডালেও দোয়েল পাখি বাসা বাঁধে।
দোয়েল পাখির বাসা:
- আকার: দোয়েল পাখি ঝোপঝাড়ের ডালে, গাছের কোটরে, বাড়ির ছাদের কার্নিসে, বিদ্যুতের তারে বাসা বাঁধে।
- উপকরণ: ঘাস, পাতা, কাঠি, মাকড়শার জাল দিয়ে বাসা তৈরি করে।
- আকার: বাসা 15-20 সেমি ব্যাসের।
দোয়েল পাখির খাদ্যাভ্যাস:
- কীটপতঙ্গ: দোয়েল পাখি পোকামাকড়, ফড়িং, পতঙ্গ, টিকটিকি, ধামা, ইত্যাদি খায়।
- ফল: কলা, পেঁপে, জাম, বেরি, ইত্যাদি ফলও খায়।
দোয়েল পাখির প্রজনন:
- প্রজননকাল: মার্চ-জুলাই মাস দোয়েল পাখির প্রজননকাল।
- ডিম: স্ত্রী দোয়েল 3-5 টি ডিম দেয়।
- ডিম ফোটানো: ডিম 12-14 দিনে ফোটে।
- বাচ্চা: বাচ্চা 14-16 দিন পর্যন্ত বাসায় থাকে।
দোয়েল পাখির উপকারিতা:
- পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ: দোয়েল পাখি ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে।
- পরিবেশ ভারসাম্য: দোয়েল পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সৌন্দর্য: দোয়েল পাখির সুন্দর চেহারা এবং মিষ্টি কলকাকলি আমাদের পরিবেশকে আরও সুন্দর করে তোলে।
দোয়েল পাখি আমাদের জাতীয় গর্ব। আমাদের সকলের উচিত এই সুন্দর পাখিটির রক্ষা করা।